
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে রংপুর রাইডার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান সংগ্রহ করে রংপুর। ১৫৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৪ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় পায় বরিশাল।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট হারায় রংপুর। প্রথম বলেই ওপেনার নাইম শেখকে আউট করেন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। নাইমের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন মেহেদী হাসান।
তবে সুবিধা করতে পারেননি তিনি। ৭ বলে ৬ রান করে সাজঘরে ফিরে যান মেহেদী। এরপর দলীয় ৪১ রানে ফের উইকেট হারায় রংপুর। ক্রিজে আসা সিকান্দার রাজাকে আউট করেন চতুরঙ্গ ডি সিলভা। একপ্রান্তে উইকেট হারালেও অন্যপ্রান্তে সাবলীল ব্যাটিং করতে থাকেন রনি তালুকদার।
তবে দলীয় ৭৬ রানে ২৮ বলে ৪০ রান করে সাজঘরে ফিরে যান রনি তালুকদার। এরপর একপ্রান্তে নিয়মিত উইকেট হারালেও অন্যপ্রান্তে সাবলীল ব্যাটিংয়ে নিজের অর্ধশতক পূরণ করেন শোয়েব মালিক। দলীয় ৯৯ থেকে ১১৭ রানের মধ্যে তিন ব্যাটারকে হারায় রংপুর রাইডার্স। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান সংগ্রহ করে রংপুর।
শোয়েব মালিক ৩৬ বলে ৫৪ ও রবিউল হক ১৫ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন। বরিশালের পক্ষে চতুরঙ্গ ডি সিলভা ও মেহেদি হাসান মিরাজ নেন ২টি করে উইকেট।
১৫৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় বরিশাল। ইনিংসের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে স্পিনার রকিবুলের বলে আউট হন চতুরঙ্গ ডি সিলভা। ওয়ান ডাউনে নামা ইব্রাহিম জাদরানকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন এনামুল বিজয়। তবে দলীয় ১৮ রানে ১১ বলে ১৫ রান করে সাজঘরে ফিরে যান বিজয়।
বিজয়ের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন মেহেদী মিরাজ। মিরাজ ও ইব্রাহিম মিলে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৮৪ রান সংগ্রহ করে বরিশালের জয়ের ভীত গড়ে দেন। দলীয় ১০২ রানে ২৯ বলে ৪৩ রান করে সাজঘরে ফিরে যান মিরাজ। অন্যদিকে নিজের অর্ধশতক পূরণ করেন ইব্রাহিম জাদরান। দলীয় ১২৪ রানে ৪১ বলে ৫২ রান করে সাজঘরে ফরে যান ইব্রাহিম।
ইব্রাহিমের বিদায়ের ইফতিখার আহমেদ ও করিম জানাত মিলে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। ইফতিখার আহমেদ ১৮ বলে ২৫ ও করিম জানাত ১৪ বলে ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন। রংপুরের পক্ষে সিকান্দার রাজা ২টি ও রকিবুল ও রবিউল নেন ১টি করে উইকেট।
ইমেজঃ সংগৃহীত