ফরাসি গণমাধ্যমে কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালে লিওনেল মেসির করা দ্বিতীয় গোলটি বাতিলের দাবি ওঠে মাঠে অতিরিক্ত আর্জেন্টাইন খেলোয়ার ঢুকে পরায়।
অনেক ফরাসি সমর্থক আবার আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ ট্রফি তাদের কাছ থেকে নিয়ে নেয়ার দাবিও তুলছেন। তবে আর্জেন্টিনা–ফ্রান্সের ফাইনাল পরিচালনা করা পোলিশ রেফারি মার্চিনিয়াক মেসির করা ফাইনালের গোলটিতে সমস্যা দেখছেন না। উল্টো কিলিয়ান এমবাপ্পের গোলের সময় ফ্রান্সের ৭ জন ফুটবলার মাঠে ঢুকে পড়েছিলেন বলে জানিয়েছেন এই পোলিশ রেফারি।
নিজের দেশ পোল্যান্ডে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সাথে এসব নিয়ে আলোচনা করেন মার্চিনিয়াক। পোল্যান্ডের ইতিহাসে প্রথম রেফারি হিসেবে বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ পরিচালনা শেষে মার্চনিয়াক নিজ দেশে ফেরেন বুধবার। তাঁকে ঢাকঢোল বাজিয়ে স্বাগত জানায় পোল্যান্ডের প্লোক শহরের বাসিন্দারা।
পরদিন শহরের মেয়রের কার্যালয়ে আয়োজন করা হয় সংবর্ধনার। সেখানে উপস্থিত সংবাদমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে বিশ্বকাপ ফাইনাল নিয়ে কথা বলেন ৪১ বছর বয়সী এই রেফারি।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বলব ফরাসি সংবাদমাধ্যমগুলো বোকার মতো কাজ করেছে। কিছু জিনিস তাদের চোখ এড়িয়ে গেছে। আমাদের কাছে এমন একটি ছবি আছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ফ্রান্সের গোলের সময় ওদের সাতজন বদলি খেলোয়াড় মাঠে ঢুকে পড়েছিল।’ এ সময় নিজের মুঠোফোনে ম্যাচের একটি ভিডিও দেখান তিনি।
এর আগে ফিফার বিধি প্রণয়নের সঙ্গে জড়িত ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ড (আইএফএবি) দ্য আথলেটিককে জানায়, গোলের মুহূর্তে কোনো খেলোয়াড় মাঠে ঢুকে পড়লেই গোল বাতিল হয় না। বাতিল হয়, যদি মাঠে ঢুকে পড়া খেলোয়াড় বা কোচিং স্টাফ সদস্য খেলার ভেতর কোনো হস্তক্ষেপ বা প্রভাব রাখে। কিন্তু ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে দেওয়া মেসির গোলটির সময় মাঠে ঢুকে পড়া খেলোয়াড়রা ছিলেন অনেক দূরে।
ভিএআর সহযোগীসহ মাঠের তিন রেফারি নিয়ে ম্যাচ পরিচালনা করা মার্চিনিয়াক জানান, ফাইনাল শেষে ফ্রান্স দলের কেউ রেফারিং কোনো অভিযোগ তোলেননি, ‘আমার কাছে খেলোয়াড়দের প্রতিক্রিয়াটাই সবচেয়ে বড়। ম্যাচ শেষে অলিভিয়ের জিরু এসে আমার সঙ্গে হাত মেলাল। উগো লরিস, কিলিয়ান এমবাপ্পেরা হাত মেলাল, ধন্যবাদ দিল। ওদের কেউ রেফারিং নিয়ে কোনো অভিযোগ জানায়নি।’
তবে ফাইনালের পর ম্যাচটির ভিডিও এখনো দেখেননি বলে জানান মার্চিনিয়াক। ম্যাচের কিছু সিদ্ধান্ত ভিন্ন হতে পারত বলেও মনে করেন তিনি, ‘আমাদের পারফরম্যান্সের দিক থেকে ফাইনাল নিখুঁত ছিল না। কিছু ছোটখাটো বিশৃঙ্খলা হয়েছে। তবে আমি আমার মতো করে সামলে নিয়েছি। আমি কাউকে কার্ড দেখাতে চাইনি। যদিও দুটি ঘটনায় কার্ড দেখালে হয়তো ভালোই হতো।’
