শীতকালীন সবজি তালিকাঃ সবচেয়ে পুষ্টিকর ৫টি সবজি

শীতকালীন সবজি তালিকা

সবজিপ্রেমীদের জন্য শীতকাল নিয়ে আসে বসন্তের ছোঁয়া। নতুন প্রাণ পায় ভেজেটেরিয়ানরা। কারণ এসময়ে বাজারে পাওয়া যায় হরেক রকমের শাক-সবজি। ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, গাঁজর, টমেটোসহ শত শত অপশন। চলুন দেখে নেই শীতকালের সবচেয়ে পুষ্টিকর পাঁচটি সবজি কি কি! শীতকালীন সবজি তালিকা

০১. গাঁজর

গাঁজরকে বলা হয় সুপার ফুড। বিশেষ করে শীতকালীন এই সকল সাধারণ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার সব চাইতে ভালো সবজি হচ্ছে এই গাঁজর। গাঁজরের ভিটামিন ও মিনারেলস দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, যার ফলে সর্দি-ঠাণ্ডা ও কাশি থেকে মুক্তির জন্য আমাদের দেহই কাজ করে থাকে। শীতকালীন সবজি তালিকা

০২. পালং শাঁক

পালং শাক অত্যন্ত পুষ্টিকর ও রুচিকর। এতে আছে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট। তাজা এবং অল্পসেদ্ধ করে খেলে বেশি এন্টিঅক্সিডেন্ট লাভ করা যায়। ১৯৪১ সালে প্রথম পালং শাকে আবিষ্কৃত হয়েছিল। পালং শাকের বর্ণনার প্রাচীনতম নিদর্শন পাওয়া গেছে চীনে। সেখানে বলা হয়েছে, এই শাক নেপাল থেকে চীনে এসেছে (সম্ভবতঃ ৬৪৭ খৃস্টাব্দে)। শীতকালীন সবজি তালিকা

আরও পড়ুন

অনেক গুনের অধিকারী আপেলের খোসা

গুনে ভরা আখের রস

০৩. ফুলকপি

ফুলকপি খুবই পুষ্টিকর একটি সবজি; এটি রান্না বা কাঁচা যে কোন প্রকারে খাওয়া যায়; আবার এটি দিয়ে আচারও তৈরি করা যায়। পাতা দিয়ে ঘিরে থাকা সাদা অংশটুকু দেখতে ফুলের মতো বলেই ফুলকপির এমন নামকরণ। এর বৈজ্ঞানিক নাম ব্রাসিকা অলিরাসিয়া (Brassica oleracea); যার মধ্যে বাঁধাকপি, ব্রকলি ইত্যাদিও পড়ে; অবশ্য এরা ভিন্ন চাষ গোত্রভুক্ত। ১৮২২ সালে ব্রিটিশরা ভারতে ফুলকপি প্রবর্তন করেছিল।

০৪. মিষ্টি আলু

মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণ বিটা ক্যারটিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, ফাইবার রয়েছে। U.S. Food and Drug Administration এর মতে “একটি মিষ্টি আলুতে ১০০ এর বেশি ভিটামিন এ রয়েছে যা প্রতিদিনের ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে থাকে”। হাত-পায়ের আঙুল ফুলা কমানো; প্রসাবের সমস্যা দূর করা সহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য এর পাতা ও মূল ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

ফলো করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল

০৫. মুলা

এটি হালকা গন্ধবিশিষ্ট; বড়, সাদা রঙের ‘মূল’ জাতীয় সবজি। এর আদিভূমি কন্টিনেন্টাল এশিয়া। হিন্দি ও উর্দুতে একে ‘মূলি’ বলা হয়। সেখান থেকে ইংরেজিতেও মূলি শব্দটি প্রচলিত হয়েছে। হালকা গন্ধ থাকায় অনেকেই মূলা খেতে পছন্দ করেনা। তবে এর পুষ্টিগুণ কিন্তু অনেক। কাঁচা মুলা খেলে কফ ও পিত্ত বৃদ্ধি পায়। কিন্তু বাত; কাশি হিক্কা রোগের জন্য মুলা উপকারী।

মন্তব্য করুন