চায়না বাঁধ

China-Dam-Sirajganj

দুইপাশে নদী আর মাঝখানে সবুজ ঘাসের গালিচায় বসে অপূর্ব প্রকৃতিকে উপভোগ করতে চাইলে সিরাজগঞ্জ জেলায় অবস্থিত চায়না বাঁধ থেকে ঘুরে আসতে পারেন। সিরাজগঞ্জ জেলা শহর থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড যমুনা নদীর কূলে এই বাঁধ নির্মাণ করে। চায়না বাঁধের অন্য নাম ক্রসবার-৩। বাঁধের মূল গেইট থেকে যমুনা নদীর ২ কিলোমিটার গভীর পর্যন্ত বাঁধের উপর দিয়ে চলে গেছে কালো পিচ ঢালা রাস্তা। আর এই রাস্তা ধরে বাঁধের শেষ প্রান্তে যাওয়া যায়।

প্রতিদিন অনেক দর্শনার্থী চায়না বাঁধে ঘুরতে আসেন। অসীম আকাশের সাথে নদীর জলের গভীর মিতালীতে তৈরি চারপাশের অপূর্ব প্রাকৃতিক পরিবেশ, নৌকা ভ্রমণ এবং অল্প দূরত্বে থাকা ছোট্ট সিরাজগঞ্জ শহর যেন এক অদ্ভুত মায়ায় দর্শনার্থীদের কাছে টেনে নেয়। আর সবচেয়ে ভালো লাগবে বর্ষাকালে গেলে।

ঢাকার মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে নিয়মিত বিরতিতে অভি ক্লাসিক এবং এসআই কোম্পানির নন-এসি বাস চলাচল করে। আর মিরপুর ২ নাম্বার থেকে ঢাকা লাইন এবং এস আই কোম্পানির এসি বাস সিরাজগঞ্জের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এসি, নন-এসি বাসের জনপ্রতি টিকেটের মূল্য ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। মহাখালী কিংবা মিরপুর ২ এর বাস ছাড়াও উত্তরবঙ্গগামী যেকোন বাসে সিরাজগঞ্জ রোড বা কড্ডার মোড়ে নেমে চায়না বাধে যেতে পারবেন।

আর ঢাকা থেকে ট্রেনে ভ্রমণ করতে চাইলে ক্যাপ্টেন মনসুর আলী স্টেশনে নামতে হবে। মনসুর আলী ষ্টেশন থেকে সিএনজি নিয়ে সিরাজগঞ্জ শহরস্থ বাজার স্টেশনে এসে রিকশা ভাড়া করে চায়না বাঁধে যেতে পারবেন।

মনে রাখা জরুরী সিরাজগঞ্জ শহর থেকে সন্ধ্যা ৭ টার পর আর কোন বাস ঢাকার উদ্দেশে ছাড়ে না। তবে কড্ডার মোড় থেকে ঢাকাগামী অন্যান্য বাসে ফিরতে পারবেন কিন্তু এক্ষেত্রে অপ্রত্যাশিত যেকোন ঝুঁকির কথা মাথায় রাখতে হবে।

ঢাকা থেকে একদিনেই ঘুরে আসা সম্ভব চায়না বাঁধ থেকে। তবে এই জন্যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সকালে রওনা হতে হবে।

রাজধানী ঢাকা থেকে চাইলে একদিনে চায়না বাঁধ ঘুরে আসার সুযোগ রয়েছে। তবুও প্রয়োজনে রাত্রিযাপন করতে চাইলে সিরাজগঞ্জ শহরের অবস্থিত মোটামুটি মানের হোটেল আলিশান কিংবা হোটেল অনিক ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে রাতে থাকার রুম পেয়ে যাবেন।

সিরাজগঞ্জ সদরে বিভিন্ন মানের বেশকিছু খাবারের হোটেল ও রেস্টুরেন্ট রয়েছে। আপনার চাহিদা পূরণে সমর্থ্য এমন যেকোন রেস্টুরেন্ট থেকেই প্রয়োজনীয় খাবার খেয়ে নিতে পারবেন। জনপ্রিয় খাবার হোটেলের মধ্যে ফুড ভিলেজ, বসুন্ধরা রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করতে পারেন। এছাড়া বগুড়ার দই প্রায় সবজায়গাতেই পাওয়া যায়। অবশ্যই খেয়ে দেখবেন এই বিখ্যাত দই।

মন্তব্য করুন