
“আমার কাছে তোমার কোন অবয়ব নেই-
কোন নাম নেই, তোমার স্পর্শের কোন স্মৃতি নেই,
তবু তুমি আছো ভীষন প্রবল আর অবাধ প্লাবনে
শুধু আছো আমার নির্ঘুম রাতগুলোতে-মুঠোফোনে-“
“তবু তো আছি তোমার অস্তিত্বে”
“সে আর বলতে- তবু বড্ড জানতে ইচ্ছা করে তোমার নাম
খুব ইচ্ছা করে ডাকি তোমায় কোন এক সূর্যডোবা সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে”
“সে-কি বাড়ী ফেরার কথা আসছে কেন,
আমি তো তোমার গৃহী নই,
আমি তোমার উন্মুক্ত আসমান,
আমার কাছে ফেরার তাড়া নেই তোমার- “
“কিন্তু তোমার কাছেই যে ফিরতে হয়, তোমাকেই যে ডাকতে হয়”
“তবে না হয় তুমিই দিও আমায় কোন নাম ডাকবার”
“তোমায় আমি ডাকব তাহলে প্রিয় বলে, কিংবা প্রিয়ভাষিণী?
উহু তোমায় আমি ডাকব -পাখি”
“সেকী পাখি কেন?”
“তুমি তো আমার একলা পাখি, আমার পুরো আকাশ জুড়ে কেবল তোমার ডাকাডাকি”
“পারো ও তুমি- পাগল”
“আচ্ছা বলতো আমি যদি না থাকি!”
“খবরদার এমন কথা কক্ষনো না, এটা হতেই পারেনা”
“মানবজন্ম নশ্বর পাখি” হেসে বলেছিলাম-
“ওমা সেকি কাদঁছ!”
“কই না তো! কাদঁব কেন তুমি আমার কে!”
“কেউ না?”
“উহু”
“বন্ধু ও না?”
“না”
“প্রেমিক”
“কক্ষনো না”
তাহলে?
“তোমার ছায়া, বুক আগলে দাড়াঁবো তোমার সামনে
ঝড় ঝঞ্জায় তোমাকে আশ্রয় দেব?”
“প্রশ্নই আসেনা তোমায় বট বৃক্ষ ভাববার!”
“উফফ, এবার সত্যি মাথা ঘোরাচ্ছে আমার”
“তুমি আমার আশ্চর্য সুন্দর এক অনুভূতি
যে অনুভূতি আছে বলেই নশ্বর এই মানবজন্ম অবিনশ্বর মনে হয়,
যে অনুভূতি আছে বলেই তুমি আছো আমি আছি
দেখা অদেখার দুই প্রান্ত থেকেও হৃদয়ের খুব কাছাকাছি।”