
টাংগুয়ার হাওর টাংগুয়ার হাওর এর অবস্থানঃ
বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা ও তাহিরপুর উপজেলায় এই হাওরটি অবস্থিত। জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ মিঠাপানির এর হাওর বাংলাদেশের দ্বিতীয় রামসার এলাকা। ভারতের মেঘালয়ের খাসিয়া, জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত এই হাওর টি পাখি ও অন্যান্য জলজ প্রাণীর এক অনন্য অভয়াশ্রম।
কিভাবে যাবেনঃ
প্রথমে সিলেটের সুনামগঞ্জ চলে আসবেন দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে। ঢাকা থেকে সরাসরি সুনামগঞ্জ বেশ কয়েকটি বাস চলাচল করে।এনা, হানিফ, আল- মবারাকা ইত্যাদি। নন এসি বাস হলে ভাড়া পড়বে ৫৫০ টাকা। ঢাকা থেকে রাতের বসে উঠলে সকাল ৬/৭টার মধ্যে সুনামগঞ্জ পৌঁছে যাবেন। সুনামগঞ্জ থেকে যেতে হবে তাহিরপুর। এখানে সিএনজি, লেগুনা অথবা মোটরসাইকেল যোগে যেতে পারবেন, সময় লাগবে প্রায় দের/ দুই ঘণ্টা। যেতে পথে আপনি দেখতে পারবেন শাহ আরেফিন এর মাজার, বারিক্কা টিলা, জাদুকাটা নদী, লাউয়েরগড় ও ইন্ডিয়ার বর্ডার সংলগ্ন অপরুপ কিছু ঝর্ণা। তবে এসব দেখতে হলে মোটরসাইকেল নিয়ে আসাটাই উত্তম। । তাহেরপুর নৌকা ঘাটে গিয়ে দরদাম করে টাংগুয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবেন। ট্রলার আগে থেকে বুক করে গেলেই ভালো, ৮ থেকে ১২ হাজার টাকার মধ্যে ট্রলারের সাইজের উপর ভাড়াটা নির্ভর করে। মনে রাখবেন দুপুরে খাবারের জন্য তাহেরপুর বাজার থেকে প্রয়োজনীয় উপকরণ কিনে নিতে হয়। আর তিন থেকে চার ঘণ্টায় পুরো টাংগুয়ার হাওর ভ্রমণ করে যদি সময় থাকে তাহলে মেঘালয় সং লগ্ন গ্রাম এবং গারোপাড়া বাঙ্গালভিটা দেখতে পারেন।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যঃ
টাঙ্গুয়ার হাওর মাছ পাখি এবং উদ্ভিদের পরস্পর নির্ভরশীল এক অনন্য ইকোসিস্টেম। মাছের অভয়াশ্রম হিসেবেই এর গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি।। বর্তমানে শীতকালে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ব্যাপক পাখির আগমন ও অবস্থানে মুখরিত থাকে টাংগুয়ার হাওর। এর মধ্যে উল্লেক্ষ্য হলো বিলুপ্তপ্রায় প্যালাসেস, বৃহদাকার গ্রে- কিংস্টারক, শকুন এবং আরো বিপুলসংখ্যক অতিথি পাখি। স্থানীয় বিভিন্ন জাতের পাখি যেমন পানকৌড়ি, কালেম, বৈদর, ডাহুক, নানা প্রকার বালিহাস, গাঙচিল, বক, সারস ইত্যাদি পাখির দেখা মেলে এই হাওর অঞ্চলে। সাধারণ হিসেবে এই হাওরে বিগত শীত মৌসুমগুলোর প্রতিটিতে ২০/২৫ লক্ষ পাখির বিচরণ ছিল বলে অনুমান করা হয়।
অনুরোধ:
প্রকৃতি কে জানুন, সৃষ্টিকতার অপার সুন্দর সৃষ্টি কে দেখুন, যা আপনার জ্ঞান ও স্রষ্টার উপর আনুগত্য অবশ্যই বৃদ্ধি করবে৷ তবে ভ্রমনকালে এমন কিছু করবেন না যা এই প্রকৃতির সৌন্দর্য বা বিশালতার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
লিখেছেনঃ ফখরুজ্জামান ফিরোজ
অসাধারণ জায়গা। ধন্যবাদ তথ্যগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ দরজার ওপাশের পাশে থাকার জন্য