
বারোস আইল্যান্ড (Baros Island) মালদ্বীপের প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে গড়ে উঠা লাক্সারিয়াস রিসোর্ট ভিত্তিক দ্বীপ। পর্যটকদের সুবিদার্থে দ্বীপটি সুন্দর ভাবে পর্যটন স্থান হিসেবে গড়ে তুলেছে। সমগ্র ভারতের সামুদ্রিক অঞ্চলগুলোর মধ্যে এই বারোস আইল্যান্ড শীর্ষে । প্রায় সারাবছরই এখানকার আবহাওয়া ভালো লাগার মতো। আর তাই বছরের যেকোনো সময়ে ভ্রমণ প্রেমীদের জন্য পছন্দের একটি জায়গা হল এই বারোস আইল্যান্ড। হানিমুনের জন্যে বিখ্যাত এই রিসোর্ট আইল্যান্ড। তবে বারোসে ঘুরতে গেলে খরচ নেহায়েত কম হবেনা, এক রাত থাকতে বেশ খরচ করতে হবে আপনাকে।
কিভাবে যাবেন
মালদ্বীপের রাজধানী মালের মালের ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে ২৫ মিনিতের যাত্রা বারোসের পথে । বারোস আইল্যান্ড এ যেতে হলে প্রথমেই ঢাকা থেকে বিমানে মালদ্বীপ যেতে হবে। বিমান বন্দরের কাছ থেকে স্পীড বোট বা ফেরিতে করে যেতে হয় বারোসে। বারোস আইল্যান্ডের কোন রিসোর্টে আগেই বুকিং করে রাখলে তারাই আপনাকে অভ্যর্থনা দিয়ে নিয়ে যাবে বিমান বন্দর থেকে।
কিভাবে ঘুরবেন বারোস আইল্যান্ড
শহরের কর্মব্যস্ত জীবন থেকে শান্ত ও নিরিবিলি সময় কাটাতে পর্যটকরা ভিড় জমায় এই আইল্যান্ডে। যদিও ছোট্ট একটি দ্বীপ বারোস কিন্তু এক্সসাইটিং অনেক অভিজ্ঞতার সুযোগ আছে এখানে। এখানকার স্পা ও মেডিটেশন সেন্টার গুলো প্রকৃতির কাছে যাওয়ার সাথে সাথে আধ্যাত্মিক ধ্যানের এক মেলবন্ধন। তাই প্রকৃতি প্রেমী কেউ এখানে গেলে এই সুযোগ হাতছাড়া করবে না।
এখানে যাদের পানিভীতি বা যারা ডাইভিং ভীতি আছে তাদের জন্য প্রাথমিক ডাইভ কোর্সের ব্যবস্থা আছে। আর যারা আগে থেকেই ডাইভিং জানে তারা উপভোগ করতে পারবে আইল্যান্ডের লেগুনে ডাইভ করার এক অভাবনীয় সুযোগ। মালদ্বীপের বারোস দ্বীপে স্নোরকেলিং করার এর সুবর্ণ সুযোগ কোনও পর্যটক হাতছাড়া করতে চায় না। পানির গভীরে সামুদ্রিক প্রাণীকুলের জীবন ও সৌন্দর্য দেখার জন্য স্নোরকেলিং এক চমৎকার রাইড। আবার ইচ্ছে ও সুযোগ থাকলে ১৫ কিলো দূরের পাশের সাইট হাউজে গিয়ে কোরাল রিফ দেখে আসতে পারেন। বারোস আইল্যান্ডের কাছাকাছি রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি দ্বীপ। সময় নিয়ে সেখান থেকেও ঘুরে আসা যায়।
এখানে দেখা মিলবে সমুদ্রের স্বচ্ছ পানির ভিতরে কোরালের আবাসস্থল, উত্তাল সাগরের ঢেউ, কচ্ছপ ও নানা ধরনের রঙ্গিন মাছ এক ভিন্ন ধরনের আনন্দ দেয় পর্যটকদের মনে। আর এখানকার পানির উপরে বীচ, ভিলা ও ব্যক্তিগত পুলগুলোতে পর্যটকদের থাকার জন্য নানা ধরনের আয়োজনকরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে।
এখানে একটা ম্যারিন সেন্টার আছে যেখানে সামুদ্রিক প্রাণী , তাদের পরিবেশ ও আবাসস্থল এর বিভিন্ন বিষয়ে জানা যাবে। এখানে কোরাল রিজেনারেশনে ও সংরক্ষনের জন্য একটু প্রোগ্রাম চালু আছে, অতিথিরা বা পর্যটকরা কোরাল রিফের সংরক্ষরের জন্য অর্থ দিতে পারে এবং মেরিন সেন্টার কোরাল প্ল্যান্টিং প্রোজেক্টের অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে।
বারোস আইল্যান্ডে বিভিন্ন ধরনের ওয়াটার স্পোর্টসের ব্যবস্থা আছে যেমন- ওয়াটার স্কাইং, ওয়াটার বোর্ডিং, উইন্ড সার্ফিং এবং ক্যানোইং। প্রতিটি রাইড অ্যাডভেঞ্চারে পরিপূর্ণ আর তাই পর্যটকদের পছন্দের শীর্ষে থাকে এই রাইড গুলো। আপনি আপনার প্যাকেজ মতো সাজিয়ে নিতে পারবেন এই ওয়াটার স্পোর্টস গুলো।