অনিকের গল্প পর্ব ০১ – আফরিন আকতার স্নেহা

Anik-er-golpo

এবার এইচ.এস.সি দিলাম। দেখতে দেখতে কিভাবে বড় হয়ে গেলাম নিজেই টের পাই নি। বড় হয়েছি ত অনেক আগেই। এখন চিন্তা মুক্ত ঘুরি। কিন্তু তাও একদিকে চিন্তা আছে,কিভাবে যে সিগারেট এর টাকা জগার করি। আহা আগে পকেট মানি থেকেই বাঁচিয়ে রাখতাম। বলতে গেলে এখন আমি বেকার।। কি যে চিন্তা!
আহ! বড্ড মাথা ধরেছে, দুদিন হল সিগারেট খাই না। প্রতিদিন ৬- ৮ টাকার সিগারেট নিতাম এখন দাম টাও বেড়েছে।

অনিক এই অনিক… মা ডাকছে।

মা আমার বড্ড ভালো। কিন্তু তবুও কেনো যেনো মা এর সাথে তেমন কথা হয় না। সব মনে হয় পাল্টে যাচ্ছে। মা রুমে এসে শুরু করলেন বকাঝকা।

-কিরে অনিক কখন থেকে ডাকছি, শুনছিস না? ভাত দেয়া আছে খেয়ে নিশ।

আরও প্রেমের গল্প পড়ুনঃ

প্রথম প্রেম শেষ ভালবাসা (পর্ব ১)

সাঁঝের বেলা (পর্ব – ১)

কথা কানে না নিয়েই এখনো শুয়ে আছি আর মনের ভেতর ঘুরপাক খাচ্ছে হাবিযাবি চিন্তা। বাহিরে খুব বৃষ্টি হচ্ছে, আগে তেমন ভালো না লাগলেও এখন কেমন যেন ভালো লাগে। বাইরে গিয়ে একটু দেখা উচিত। তার চেয়ে বড় কথা হলো সামনের ফ্ল্যাটের ঠিক ৪ তলায় একটি মেয়ে, দেখতে মোটামোটি সুন্দরি। না আমার ওসব বেপারে তেমন মাথা ব্যথা নেই। বাহিরে ব্যালকনিতে গিয়ে দেখি সেই মেয়েটি। হাত দুটো মেলে মনের আনন্দে বৃষ্টির পানিতে ভিজছে। দেখতে খুব ভালোই লাগছে। চোখ গুলো বড় এবং মায়াবী! বুঝা যায় মেয়েটি খুব মায়াবী। মনে হচ্ছে পরী। আরেহ! কিসের যেন শব্দ হল.. নিশ্চয় সেই বিড়াল টা ঢুকেছে। মা বলেছিল সব ঠিক করে রেখেছে, খিদেও পেয়েছে। কিন্তু কেনো যেন খেতে ইচ্ছে করছে না। যাই সিগারেট পাই কিনা দেখি, বাকি করেই খেতে হবে।

বাসা থেকে একটু দূরে জহির মামার টঙ। মনে পড়ে উনি আমাকে গত সপ্তাহেও বাকি দিয়েছিলেন। মানুষটা খুবি ভালো। বিয়ে করেন নি এখনো। নিজে খাই নিজের পেট নিজেই চালাই। যাক দুটো সিগারেট পেলাম, একটা সন্ধ্যায় খাওয়া হবে। খুব সাবধানে রাখতে হবে, বাবার চোখে পরলে ব্যাপারটা ভালো হবে না। বাবা খুবি স্ট্রেইট ফরওয়ার্ড একজন মানুষ। বাবার এই একটা জিনিস খুব ভালো লাগে আমার। বাসায় গিয়ে আরেকটু ঘুম দিবো। ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টির পানিতে ভালোই লাগছে রাস্তায় হাটতে। হঠাৎ উপরে তাকিয়ে দেখি, আরেহ এত সেই মেয়েটি। হঠাৎ হাটতে হাটতে কেনো যেন দাঁড়িয়ে গেলাম। কেনো দাঁড়িয়েছি তাও জানিনা। আবার উপরে তাকিয়ে দেখি মেয়েটি আমার দিকে তাকিয়ে আছে..

ফলো করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল এবং প্রেমের গল্প লিখে পাঠান আমাদের

প্রথমে বুঝতে পারিনি, এখন দেখি মেয়েটি আমাকে দেখে হাসছে, আমি নিজেকে একটু দেখলাম, ইতস্তত বোধ করলাম, সব ঠিকাছে,তাহলে মেয়েটি কি পাগল নাকি! আবার তাকিয়ে দেখি মেয়েটি আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসছে। ব্যাপারটি অদ্ভুত হলেও, কেনো যেন আমার ভালোই লাগছে, মেয়েটির হাসি যেন সব কিছু ভুলিয়ে দিচ্ছে। ওপাশ থেকে কেউ একজন মেয়েটি কে ডাকছে, কি নামে ডাকছে তা বুঝতে পারি নি তবে মনে হয় মেয়েটির নাম ধরেই ডাকছে। আচ্ছা মেয়েটির নাম কি হতে পারে! কি হাবিযাবি ভাবছি! সিগারেট টাও প্রায় শেষ হয়ে এলো। এবার আবার হাটা শুরু করলাম। অনেক্ষণ হেটে এসে বাসায় ঢুকতেই যা দেখলাম তা কল্পনাই করিনি। আরেহ! একি, এটা কি বাস্তব নাকি আমার ইমেজিনেশন?

অনিকের গল্প পর্ব ১ পড়ুন এখানে

অনিকের গল্প পর্ব ২ পড়ুন এখানে

অনিকের গল্প পর্ব ৩ পড়ুন এখানে

অনিকের গল্প পর্ব ৪ পড়ুন এখানে

অনিকের গল্প পর্ব ৫ পড়ুন এখানে

অনিকের গল্প পর্ব ৬ পড়ুন এখানে

অনিকের গল্প পর্ব ৭ পড়ুন এখানে

অনিকের গল্প পর্ব ৮ পড়ুন এখানে

মন্তব্য (9)

শুরু টা ভাল লেগেছে। আশা করি বাকি পর্ব গুলোও ভাল হবে। শুভ কামনা রইল আর অপেক্ষায় রইলাম পরের পর্ব গুলোর জন্য।

[…] অনিকের গল্প পর্ব ১ পড়ুন এখানে […]

মন্তব্য করুন