প্রথম প্রেম শেষ ভালবাসা (পর্ব ৮)

ZZgQOQpIWdPUbgwNQwQ1ZGlC7bJIuWDMJq4ME22hgtFQiiU2l_FfFmhWIb+OqzFP6E7yZlEy8GK+FTEHZZApwsweKIHuByT7SQ+i39Osva7yQuvQJlM1VRPVTtZVF79Mc3CvC_WbEdawPG9Lrpw_D94jXk2Vk6GJGrmWEGoDvxXEAiIFmJzTE copy

ফারিয়াকে কথা দিয়েছি, আমি খুব খুব ভাল বাবা হবো। আমার কাছে ভাল বাবার ছবিটা ঘুরে ফিরে আমার বাবার মুখের সাথে মিশে যায়। ইদানীং খুব ছোটবেলার কথা মনে পড়ে, বাবার ঘামের গন্ধ, বাবার আফটার শেইভ লোশনের ঘ্রাণ, বাবার রুপালী ঘড়ি, বাবার ভ্রুর নিচের কাটা দাগ সব সব কিছু আমার ডিটেইলে মনে পড়ে আর আমি চোখ বুঁজলেই দেখতে পাই- ছোট্ট আমি পড়ে গিয়ে ব্যাথা পেয়ে কাঁদছি, বাবা অফিসে যাচ্ছিলেন খুব ব্যস্ত হয়ে, অফিস বাদ দিয়ে আমাকে নিয়ে হাসপাতালে দৌড়ালেন। আমার তিনটা স্টিচ লেগেছিল সেবার- আমি আর কতটুকু কেঁদেছি, বাবার কান্না থামানোই দায়। আচ্ছা সেই সময় গুলোতে আবার যদি ফিরে যাওয়া যেত!! আচ্ছা আমি কী আমার বাবার মত এতো আবেগী বাবা হব! ফারিয়ার সন্তান কে কী আমার আমার মাঝে ধারন করতে পারব! জন্মদাতা না হয়েও কী আমি পিতা হতে পারব!

ফারিয়ার সাথে ইদানিং খুব কমই কথা হয়, যা কথা হয় সবই ওর স্বাস্থ্য বিষয়ে। ফারিয়ার চেয়ে ওর গর্ভে বড় হওয়া সন্তান আমার আকর্ষনের কেন্দ্রবিন্দু। আমার রেনোভেট করা ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাটের নিচটা জুড়ে কেবল আমার সন্তানের জন্য। উপরের ফ্ল্যাটটাতে থাকবেন বাবা, আমি বাবার জন্য ফুল টাইম দুইজন নার্স নিয়োগ দিয়েছি, আমাদের ৫ তলা বাড়ির নিচ তলায় গ্যারেজের পাশের ফ্ল্যাটে এক সময় ঘাঁটি গেড়েছিলেন রেহানা আন্টিরা, ২ তলায় বাবার একটা অফিস আছে, আর ছবি আঁকার স্টুডিও আর আমার লাইব্রেরি। তিন তলায় আমরা, মানে আমি আর বাবা থাকতাম, চার তলায় একসময় ভাড়াটে ছিল, এখন আমি সেটা নিয়ে তিন আর চারতলাকে ডুপ্লেক্স করিয়ে রেনোভেট করিয়েছি। যে রাতে রেহানা আন্টিদের চলে যেতে বলেছিলাম, তার আগের রাতে বাবাকে সরিয়েছিলাম উপরের ফ্ল্যাটে, সেখানে বাবার জন্য স্পেশাল ইন্টেরিওর আর ছবি আঁকার ঘর। একটা রুম রেখেছি আমার জন্য। নিচ তলায় থাকবে ফারিয়া আর বেবি। বাবার নার্স দুইজন ও নিচেই থাকবে, ডাইনিং বাবার রুমের সাথে। ৫ তলায় আমি একটা কনফারেন্স কাম ড্রইং রুম সাজিয়েছি।

ফারিয়ার হেল্প নিব বলে সিদ্ধান্ত নিলাম, ফারিয়া যদিও ক্রিমিনাল ল’ইয়ার না তবুও আইনের মারপ্যাচ গুলো ভালভাবেই জানবে হয়ত। আমি ফারিয়াকে দিয়ে হাসেম মামার কেইস এর ডিটেইল বের করার ব্যাবস্থা করলাম। পাশাপাশি সেই সময়ের পত্রিকা গুলো নিয়ে বসলাম। অবাক করা ব্যাপার কেইস টা বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল সে সময়ে, রাতের আঁধারে নিজ বিছানায় খুন হয় সগীর সাহেব, মানে রেহানা আন্টির সেজ চাচা, উনার মৃত্যুর সময়ে পাশের রুমে ছিলেন হাসেম মামা। মামা সেদিনই ঢাকা থেকে পরিবারে গ্রামে গিয়েছিলেন। উনার বউ বাচ্চা নাকি সেদিন শ্বশুরবাড়িতেই ই ছিল। ঘটনার দিন বিপত্নীক সগীর সাহেবের ছেলেরা কেউ ই বাসায় ছিল না। পুরো বাড়িতে নাকি হাসেম মামাই ছিলেন। সেদিন সকালে নাকি হাসেম মামার সাথে জমি জমা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছিল সগীর সাহেবের তার-ই জের ধরে এই খুন বলে সন্দেহ করে পুলিশ পরবর্তীতে চার্জ শিট থেকে হাসেম মামার নাম বাদ দেয়া হয়। আমার মন বলছে আমার বাবা তার অর্থনৈতিক প্রতিপত্তি খাটিয়ে হাসেম মামাকে উদ্ধার করেছিলেন।

আমার মনে হয় রেহানা আন্টির মুখোমুখি হবার সময় এসেছে আমার আবারো। কিন্তু তার আগে আমাকে আরো কঠোর একটা কাজ করতে হবে। সময় আমাকে কি ক্রুর ই করে দিয়েছে!

আমার বিয়ের আর অল্প কয়দিন বাকি থাকতে হঠাৎ ই ফোন আসে রেহানা আন্টির। হাসেম মামাকে নাকি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গতকাল নাকি কিডন্যাপার রা ২০ লক্ষ টাকা চেয়ে ফোন করেছিল। এদিকে সাব্বিরকেও তিনি রিচ করতে পারছেন না, পারা কথাও না, বিয়ের শপিং এ সে এখন ইন্ডিয়াতে। বিহবল অবস্থায় তিনি আমাকে কল দিয়েছেন, আমি জানি বাবা পর্যন্ত পৌঁছুতে পারেন নি তিনি, সে উপায় আমি রাখিনি, তাই বাধ্য হয়েই আমাকে কল দিয়েছেন।

আমি খুব শান্ত নরম গলায় উনার সাথে দেখা করতে চাইলাম। উনাকে আসতে বললাম আমার এক গেস্ট হাউসে। আশ্বাস দিলাম ২০ লাখ টাকা আমি উনাকে দিব।

ঘন্টা দুয়েক পর উনার মুখোমুখি বসলাম আমি- “আন্টি আপনি আমার মায়ের মতন, আপনার পাশে আমি অবশ্যই থাকবো। কিন্তু তার আগে যে, কিছু কথা জানার আমার খুব প্রয়োজন। আশা করি আপনি বলবেন। বুঝতেই পারছেন আপনি এখন কতটা একা”

প্রথম কথা হলো- আপনি হাসেম মামা কে বিয়ে করার দেড় বছর পর সাব্বিরের জন্ম, আমি সেটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রেজিস্ট্রার থেকে জেনেছি এবং এই যে আমার কাছে তার কপি এবং আপনাদের বিয়ের কাবিন নামাও আমার কাছে আছে। বলে আমি তার সামনে দুটো কাগজ মেলে ধরলাম।

আপনি সাব্বিরকে আমার বাবার সন্তান হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার একটা হীন ষড়যন্ত্র করেছেন, সেটা কেন? আপনি কী বুঝতে পারছেন – একে তো আপনি বাবার বিবাহিত স্ত্রী উনার কাছ থেকে তালাক না নিয়েই আপনি আরেকজন কে বিয়ে করেছেন অর্থাৎ বাংলাদেশ আইন এবং শরীয়াহ মোতাবেক আপনি হাসেম মামার অবৈধ স্ত্রী। সে হিসাবে সাব্বির একজন জারজ সন্তান” বলে অট্টহাসি দিলাম আমি। “চুপ করে থেকে আপনি সময় নষ্ট করছেন, এতক্ষনে হয়ত আপনার স্বামী আরো কঠিন বিপদে আছে”। আবারো মিষ্টি হেসে বললাম আমি।

আন্টি চুপ করে থেকে বলল- ‘আমি সাব্বিরের ভবিষ্যৎ সিকিওরড করতে চেয়েছিলাম। সাব্বির আমার পেটে আসা আমার জন্য ছিল বিরক্তের আর ঘৃণার। কারন আমি হাসেম কে কখনো ভালই বাসিনি। সে তার স্বামীত্ব ফলাতে গিয়ে সাব্বির আমার গর্ভে আসে, আমার মন প্রাণ জুড়ে তখনো তোমার বাবা- টগর। সাব্বির গর্ভে আসার কয়েকমাস পর হাসেম এসে জানায় সে টগরের খোঁজ পেয়েছে, টগর এখন নাকি তার এক ক্লাসমেটকে বিয়ে করে দেশের বাইরে চলে গেছে, এই খবর টা শুনে নিজেকে ভীষন প্রতারিত মনে হচ্ছিল। টগর অন্য কারো সাথে সুখে ঘর করছে আর আমি গ্রামে পচে মরছি!! কেন আজ আমার টগর আমাকে নয় অন্য কাউকে নিয়ে সংসার করছে!! আমার খোঁজ কী একবারো তার জানতে ইচ্ছা করলো না? এতসব দ্বন্দের মাঝে আমাদের দারিদ্র্য যখন চরমে উঠলো, আমার পরামর্শে হাসেম ঢাকায় আসার সিদ্ধান্ত নেয়। এর মাঝে আমি জানতে পারি, আমার সেজ চাচা নাকি আমাদের সব সম্পত্তি হাসেম কে পাইয়ে দিবে বলে লোভ দেখিয়ে আমার সাথে বিয়েতে তাকে প্ররোচিত করেছে, কিন্তু বিয়ের পর থেকে কেবল ধানাই পানাই করছে। সাব্বিরের জন্মের পর ওর মুখ দেখে আমি দুনিয়ার সব কষ্ট, আমার আমোঘ নিয়তি সব ভুলে গেলাম, সাব্বিরের মুখে যেন আমার মায়ের মুখ বসানো। তোমাকে বলা হয়নি তোমার বাবা দেখতে আমার মায়ের মতন, শুনেছি তোমার দাদা আর আমার মা জমজ ভাই বোন ছিলেন। সাব্বির কে যতবার দেখতাম আমার আরো বেশি টগরের কথা মনে পড়ত। আমি দীর্ঘশ্বাস ফেলতাম, এই সন্তান তো টগরের ও হতে পারতো’।

সাব্বিরের ১ বছর বয়সে আমরা ঢাকায় চলে আসলাম। হাসেম ছোট খাটো ব্যবসা দেয়ার চেষ্টা করছিল, কিন্তু পুঁজির অভাবে পারছিল না, সে আমার চাচার উপর চাপ তৈরি করছিল। কিন্তু আমার অতি ধুরন্ধর চাচা কিছুতেই প্রপার্টি বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন না।

হাসেম ব্যাবসার পাশাপাশি কাজ খুঁজতে শুরু করে। এক রিটায়ার্ড ডিস্ট্রিকট জাজের বাসায় কাজ নেয় সে ম্যানেজার কাম কেয়ারটেকারের, ভদ্রলোক নিঃসংগ ছিলেন। নিসংগতা কাটাতে ভদ্রলোক ব্যবসা শুরু করেছেন। হাসেম আমাকে জানায় ভদ্রলোকের স্ত্রীর মৃত্যুর পর তিনি তার মেয়েকে নিয়ে দেশে থাকতেন। তার মেয়েও পি এইচ ডি করতে স্বামী সহ দেশের বাইরে আছেন। চাকরিতে ঢোকার কয়েক দিনের মধ্যেই সে ভদ্রলোকের মেয়ের রুমে তোমার বাবা-মায়ের বিয়ের ছবি দেখতে পায়। একদিন লুকিয়ে সেই ছবি সে নিয়েও আসে, আমাকে ভীষন টিটকারি দিতে থাকে সে, বলতে থাকে এই টগরের জন্য তাকে আমি কতই না কষ্ট দিয়েছি, আর টগর ঠিকই সুখের সংসার করছে, শ্বশুরের পয়সায় ফূর্তি করে বেড়াচ্ছে। শুনে আমার ব্রক্ষ্মতালু জ্বলে উঠলো। হাসেম আস্তে আস্তে তোমার নানার অত্যন্ত বিশ্বাসভাজন হয়ে উঠল, এর মাঝে পার হয়ে গেলো আরো দুই বছর, সাব্বিরের বয়স তখন চার। আমরা শুনলাম, জাজ সাহেবের প্রেগন্যান্ট মেয়ে আর তার স্বামী দেশে আসছেন। এই খবর শোনার পর থেকে তারা আসা পর্যন্ত আমি একটি রাত ও ঘুমাতে পারলাম না। ঈর্ষা, ঘৃণা আর রাগে জ্বলে পুড়ে যাচ্ছিলাম আমি।

তোমার জন্মের তিনচার মাস আগে দেশে ফিরলেন তিনি একা, টগরের থিসিস পেপারে কিছু কাজ বাকি থাকার কারনে সে ফিরতে পারলো না। আমি এই সুযোগটা কাজে লাগালাম। হাসেম ছিল অত্যন্ত লোভী প্রকৃতির তাকে আমি টগরের শ্বশুরের সম্পত্তির লোভ দেখিয়ে এক প্ল্যান করলাম। আমার পরিকল্পনা ছিল তোমার বাবাকে ব্ল্যাকমেইলিং করে তার জীবনে নতুন করে এন্ট্রি নেয়া আর সাব্বিরের জন্য নিশ্চিত একটা ভবিষ্যত গড়ে তোলা। আর পাশাপাশি হাসেম কে আমার জীবন থেকে সরিয়ে দেয়া। এসব করতে হলে তোমার মা কে তোমার বাবা কাছ থেকে আলাদা করা আমার জন্য খুব দরকার ছিল। তোমার নানার হাসেমের প্রতি অপত্য স্নেহ আর বিশ্বাসের সূত্র ধরে আমি পৌঁছে গেলাম ঐ বাড়িতে, তোমার মায়ের অল টাইম গভর্নেস হিসাবে। অল্প দিনেই আমি তোমার মায়ের হৃদয় জয় করতে পারলাম। উনি খুব জ্ঞানী কিন্তু উদাসীন প্রকৃতির সরল মনের মানুষ ছিলেন। আমি উনার যত্নের নাম করে উনার কানে একটু একটু করে বিষ ঢালছিলাম তোমার বাবার নামে, সবই মিথ্যে আর বানোয়াট। একদিন আমি উনাকে বললাম এমন এক ঘটনা আমাদের গ্রামে ও ঘটেছিল, সুন্দরি প্রেগন্যান্ট বউ রেখে পরকিয়া। তাছাড়া টগর যে তার মত পরিবারের উপযুক্ত না সেটাও বললাম। তোমার মা তখন আমার উপর অনেকটাই নির্ভরশীল, তোমার জন্মের সময় ঘনিয়ে আসছে, আমি আমার শেষ চালটা চাললাম। আমি জানতাম সাব্বিরের সাথে তোমার বাবার চেহারার অনেক মিল, এই ফায়দা টা আমি নিয়ে সাব্বিরকে একদিন তোমার মায়ের কাছে এনে এক দুখের কাঁদুনি ফেদে বসলাম। বললাম এক যুবক কিভাবে আমাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়েছিল। ইংগিত দিলাম এটা তোমার বাবা ও হতে পারেন। শুরু হল তোমার মায়ের মনের দুশ্চিন্তা আর সন্দেহ। ও তোমার নানা বা মা কেউ ই জানতো না তখনো এ হাসেম আমার স্বামী। জানতো দূর সম্পর্কের আত্মীয়। এর মাঝে তোমার বাবা চলে আসলেন। উনি যখন ফিরলেন আমি হাসেম কে কিছুদিন ছুটি নিতে বললাম যাতে হাসেমের সাথে আমার ব্যাপারটা এন টগর এসেই প্রকাশ করে দিতে না পারে।

টগর ফিরল।।ইশ, কী সুন্দর ই না লাগছে তাকে।

সে এসে এই বাসায় আমাকে দেখে হতবাক হয়ে গেল, স্বাভাবিক স্বতঃস্ফূর্ত আচরন আর করতে পারছিল না কারোর সাথেই, এই ব্যাপার টা তোমার মায়ের দৃষ্টি এড়ালো না।

একদিন আমি ইচ্ছে করেই তার সাথে কথা বলার প্ল্যান করলাম দুপুর বেলা, কিন্তু তার আগেই তোমার মায়ের লেবার পেইন উঠে গেল। সবাই তাকে নিয়ে ব্যস্ত। জানিনা কী হলো, তোমার জন্মের আগের এই বাসার সব আনন্দ যেন উবে গেলো। আমি বুঝলাম কোন একটা সমস্যা আছে। তোমার নানা জানালেন তোমার কিছু অসুস্থতা আছে। উনি আমাকে ঐ বাসায় আসতে আর না করলেন। এমনকি হাসেম কেও ৩ মাসের বেতন দিয়ে কাজ থেকে ছাড়িয়ে দিলেন। একে তো আমার প্ল্যান ভন্ডুল হতে বসেছে অন্য দিকে কাজ হারিয়ে আমরা অর্থ কষ্টে পড়ে গেলাম।

আমার ঈর্ষা আরো বেড়ে গেলো। মানুষের ঈর্ষা আসলে ভাল কিছু বয়ে আনেনা আমি সেদিন বুঝলাম, আমি হাসেম কে জমি উদ্ধারের জন্য চাপ দিচ্ছিলাম। এদিকে টগরকে আমি চিঠি লিখলাম সাব্বিরের জন্ম পরিচয় জানিয়ে, সে আমার সাথে দেখা করতে চাইলো বাইরে কোথাও। দেখা করার স্থান আমি আগেই তোমার মাকে জানিয়ে দিয়েছিলাম। আমার প্ল্যান ছিল হাতেনাতে ধরা খাবে তোমার বাবা। এদিকে যেদিন দেখা করার কথা সেদিন হাসেমের একটা বোকামি আমাদের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিল অনেক খানি”।

রেহানা আন্টির কথা শুনে মনে হচ্ছিল মুভি দেখছি, হঠাৎ আয়নায় চোখ পড়তে দেখি আমার মুখ তখন রাগে রক্তবর্ণ। রাগে আমার ইচ্ছে করছিল, উনাকে আমি খুন করি। কিন্তু আমার মাকে আমার খুঁজে বের করতেই হবে, আজন্ম লালিত মায়ের স্নেহের অভাব যে আমাকে পূর্ণ করতে হবেই।

মন্তব্য করুন