আমার মহারাজ,
আজ তিনদিন হয় আমি আপনার কন্ঠ শুনিনা, আপনার চিঠি পাইনা, আপনার টেক্সট পাইনা ইভেন ম্যাসেঞ্জারেও আপনি আনএভেইলেবল। আমার জগৎ-সংসার কেপেঁ উঠছে অজানা সব শংকায়। আমি নিজেকে কিছুতেই আর কন্ট্রোল করতে পারছিনা। আমি খুব খুব শক্ত থাকতে চাই মহারাজ তোমার জন্য। এই পৃথিবীতে তোমার মত আর কিচ্ছু আমি চাইনাই। তোমার মত করে আর কিছুই ভালবাসিনি। তোমার কাছে যাবার সাধ্য আমার নাই, আমার হাসি-খুশি ফাইটার মহারাজ কে বিছানায় অসুস্থ অবস্থায় দেখাটা কতখানি অসহ্য কষ্টের তা বলে বোঝানো যাবেনা। আমি তোমাকে ভালবাসি। তুমি প্লিজ ফিরে এসো, আমি আচঁল পেতে অপেক্ষা করছি তোমাতে ফেরার। স্রষ্টার কাছে করজোরে তোমার ফেরার প্রার্থনা করি। আমার জীবন, আমার পূণ্য সব কিছুর বিনিময়ে আমি তোমাকে চাই। আমি পৃথিবীর কোন নিয়ম কানুন কিচ্ছু আর মানবো না। তোমাকে ছাড়া আমার মানবজন্ম অপূর্ণ রয়ে যাবে। তুমি কেবল ফিরে এসো, আমি বিদ্রোহী হব। আমি তোমাকে নিয়ে চলে যাবো এমন কোন সত্যে যেখানে তোমার আমার নতুন কোন শুরু হবে। তোমাকে প্রথম যেদিন দেখলাম- আমার এখনো মনে আছে, আমি হাসপাতালে শুয়ে, দেখলাম অদ্ভুত সুদর্শন এক পুরুষ মিষ্টি করে হাসছে। কী অদ্ভুত গভীর তার চোখ। ঠোটেঁর চেয়ে চোখের হাসি তার আরো বেশি মোহনীয়। আমার মনে হলো টিন এজ হলে আমি এর প্রেমে পড়ে যেতাম। আচ্ছা পুরুষ মানুষের গালে টোল পড়ে! সেইদিন প্রথম দেখলাম। তোমাকে পরে অনেকবার বলেছি, তুমি প্রতিবার হেসে বলিউড নায়কদের রেফারেন্স দিতাম। মহারাজ আমার জীবনের একমাত্র নায়ক ই তুমি। তুমি মুভির নায়কদের মত ফিরে এসো আমার কাছে। আমরা অনেক হাসবো। তোমার সব প্র্যাক্টিক্যাল জোক যে আমাকে হাসতে শিখিয়েছে। তুমি আমাকে বাচঁতে শিখিয়েছ, স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছ, ভালবাসতে শিখিয়েছ তোমাকে এবং নিজেকে। মহারাজ তোমাকে নিয়ে আমি সত্যি পালিয়ে যাবো অনেক অনেক দূরে, তোমার হাসিমুখের টোল দেখতে দেখতে আমি আমার এক জন্ম কাটিয়ে দিব। আমি আর কোন যুদ্ধকে ভয় পাইনা। ফিরে এসো মহারাজ, আমার রাজত্বে। ভীষন মিস করছি।(কালকে মধ্যে অনলাইনে না পেলে হাসপাতালে হাজির হয়ে যাব কিন্ত)
ভালবাসি আজন্মের সাধনায়।
তোমার
মহারাণি