চিঠিপত্রের মাস- ইতি “কবি” (পর্ব ৮)

cithi potro - Copy2

আমার অভিমানী মহারাণি,

ওতো ঠোটঁ ফুলিয়ে থাকার কারণ টা কী? শোন, কোন মানুষই অমর নয়, তোমার কবিও নয় এটা মানতে এত কষ্ট কেন! ইচ্ছে করে কী কেউ   অসুস্থ হয়। এমন মহারাণি যার আছে তার তো হাজার জন্ম বাচঁতে ইচ্ছে করে। খুব অল্পদিন বাচঁব বলেই হয়ত তোমাকে এত তীব্র ভালবেসে যেতে চাই, যেন তোমার মন জুড়ে -মনের প্রতিটা কোণ জুড়ে কেবল একটি মুখচ্ছবি থাকে।

মানুষ প্রেমে পড়ে প্রেমিকার রূপের আমি প্রেমে পড়েছিলাম তোমার অস্থিরতার। আসলেই! এত অস্থির এত ব্যাকুল একটা মেয়ে কিভাবে হয় বলত! আচ্ছা আমি তো মিটিং এও থাকতে পারি, আমি তো ঘুমাতেও পারি, না তুমি অস্থির হয়ে প্যানিক এটাক পর্যায়ে চলে যাও। কী অদ্ভুত! আচ্ছা এমন করলে আমি যখন থাকবো না তুমি কী করবে, ওতো ব্যাকুল হয়ে ডাকলে আমি তো মাটির ঘরে ঘুমাতেও পারবোনা। মহারাণি, একদম কাদঁবেনা ওতো কান্না তোমাকে মানায় না। তুমি রাজ্য জয় করা মহারাণি! তুমি যখন অন্য কারো হাত ধরে কী সুন্দর করে সেজে আমার সামনে দিয়ে মুভি দেখতে যাও, কই আমি কাদিঁ! আমার তো ইচ্ছে করে তোমাকে ছিনিয়ে নিয়ে এসে আমার বন্ধ দরজায় বন্দী করে রাখি।

তোমার ধারনা আমি ইচ্ছা করে সুস্থ হই না, তোমাকে টেনশানে রাখব বলে। সত্যি যদি এটা পারতাম, তবে দুনিয়ার তোয়াক্কা আর না করে অবশ্যই তোমাকে ছিনিয়ে নিয়ে আসতাম। অন্যের হাত ধরে মুভি দেখার নির্লজ্জতা আমি এক মুহুর্তে ঘুচিয়ে দিতাম মহারাণি। জ্বী না, আপনি অবশ্যই রাগ হবেন না। আপনার উপর আমার অধিকার আর যে কারো চেয়ে বেশি আর তা ভালবাসা বলে। আমার চেয়ে ভাল কে ই বা কবে বেসেছিল আপনাকে! বাসতে পারবেই বা কিভাবে বলেন তো! পারবেনা মহারাণি, কবি হয়ে জন্মানো লাগে মহারাণির ভালবাসা পেতে হলে সাধনা লাগে। মহারাণি, ইদানীং বড্ড বেশি ডিমান্ডিং হয়ে পড়ছি আমি। মাঝরাতে আমার ঘুম ভেংগে  বড্ড বেশি তোমার তৃষ্ণা পায়, তারচেয়েও পেয়ে বসে ঈর্ষাকাতরতা। আমার নির্ঘুম রজনীতে তুমি তোমার উষ্ণতায় ঘুম পাড়াচ্ছ অন্য কাউকে ভাবতেই আমার ইচ্ছা করে এক নিমিষে চূর্ন করে দেই, আমার ভদ্রতার মুখোশ।  হাজির হয়ে যাই তোমার বাস্তবে, ছিনিয়ে নিয়ে আসি তোমায়। নাহ! পারিনা মহারাণি, আমার ঘর ও যে তোমার জন্য শূন্য নয়।

অসম্ভব সম্ভবে ভালবাসি মহারাণি। স্রষ্টা ভাল রাখুন তোমাকে।

ইতি

কবি

মন্তব্য করুন