লেখক~ আবু তালহা বিন মনির
প্রিয় নিশাত,
শরতের স্নিগ্ধ গোধূলিতে নাও উষ্ণ প্রীতি!
গোলাপ নয়,নয় রজনীগন্ধা।
আমি তোমায় দিচ্ছি সাদা শাপলা।
একাগ্রচিত্তে অকুণ্ঠ হৃদয়ে গ্রহণ করো আমার এ প্রীতি।
বসন্তের শেষালগ্নে গগণ ছুঁইছুঁই কড়ই বৃক্ষের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ডাল-পালার ছায়াতে বসেছিলাম প্রথম তোমার হাত দুটি ধরে।
পায়ের তলায় নরম দূর্বা ঘাস আর উপরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সবুজ ডাল-পালা।
পাতার ফাঁকে তীর্যক ভাবে তোমার নাক-মুখে পড়েছিলো সূর্যের হলুদ আভা।
আমি দর্শন করেছিলাম তোমার সেই মূহুর্তটা।
আবেগাপ্লুত ভঙ্গিতে ঠুঠের কোণে এক ঝলক হাঁসি রেখে বলেছিলে-জানতাম,আমাকে তোমার পছন্দ হবে না!
খুব অবুঝ মনে তোমার বলা ঐ কথা শুনে মিটিমিটি হাসছিলো সবুজ দূর্বা ঘাসেরা,হাসছিলো নীলাভ আকাশ,দোল খাচ্ছিলো দু-জনার মাথায় ছাঁয়া দেয়া গাছের পাতারা।
অপলক দৃষ্টিতে মায়া জড়ানো মুখটির দিকে তাঁকিয়ে মনোযোগ দিয়ে শুনছিলাম তোমার সে মায়া,প্রীতি জড়ানো কথা।
আর মায়া জড়ানো এই কথার মাঝেই যেন আঁটকে গেলাম আমি।
ঠুঠের কোণে এক ঝলক হাঁসি নিয়ে তোমার সে কথাটিই যেন আমায় কেঁড়ে নিলো তোমার আরো কাছে।
সেদিন হতে আমি নতুন করে আরো তোমার হতে থাকি।
মায়া বিস্তৃত হতে থাকে আরো গভীর হতে গভীরে।
সমস্ত প্রীতি দিয়ে সেদিন আপন করে নিই তোমার ঠুঠের কোণের ঐ অবুঝ হাঁসি।
আজ আর নয়।
খুশিতে থেকো সর্বদা।
ভালো থেকো।
আবারও নাও উষ্ণ প্রীতি।
ইতি-
তোমারই
সানি